এইখানে ঘুমিয়ে আছে অরণ্য নাসির!

 

নাসির আহমেদ কাবুল

একদিন সন্ধ্যার কিছু আগে একটি এপিটাফে
আটকে গেল দুই চোখ--
‘এইখানে ঘুমিয়ে আছে অরণ্য নাসির’-

সাদা মার্বেল  পাথরে খোঁদাই করা জ্বলজ্বলে একটি এপিটাফে কয়েকটি শব্দ

একবুক ভালোবাসা ও দুঃখ যেন হাতধরাধরি করে শুয়ে আছে

কবরের গহীন নিস্তব্ধ অন্ধকারে!


হাজার মানুষের ভীরে আমি যেন শুনতে পাচ্ছি কার যেন বুকের ক্রন্দন,

কার যেন হাহাকার ঝিঁঝির শব্দকে ছাপিয়ে

বাতাস  কেঁদে যাচ্ছে  হুহু করে।


একদিন মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্তানে সন্ধ্যার কিছু আছে

চলতে চলতে থমকে দাঁড়ালাম--

যখন ঝিঁঝির গুঞ্জন ছাড়া নিস্তব্ধ ছিল চরাচর।

আমি আমাকেই আবিস্কার করলাম কবরের গভীরে 

একা শুয়ে আছি আমিই অরণ্য নাসির!


কে একজন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে আছে-

চেনা  চেনা লাগে, তবুও অচেনা সে, যেন কোথায়

দেখেছি তাকে, যেন খুব কাছের কেউ...

হঠাৎ তার দুই চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল স্নিগ্ধ পবিত্র জল

আহা! এমন করে কে কাঁদল আমার জন্য?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. জাগতিক ব্যস্ততার বাইরে অন্তরের গভীরে যে চেতনার বসবাস তাকে আবিস্কার করার সক্ষমতা সবার হয়না। কিন্তু আপনি এই কবিতায় সেটা করে দেখিয়েছেন বড় ভাই। আধ্যাত্মিক ভাবনাসমৃদ্ধ একটি ঋদ্ধ কবিতা।

    উত্তরমুছুন
  2. আমি আমাকেই আবিস্কার করলাম কবরের গভীরে
    একা শুয়ে আছি আমিই অরণ্য নাসির!
    ....এক কথায় অসাধারণ।

    আহা! এমন করে কে কাঁদল আমার জন্য?.....লাইন দুটো অন্তরে প্রতিধ্বনি তুলছে....এমন করে কে কাঁদবে আমার জন্য?
    নিরন্তর শুভকামনা।

    উত্তরমুছুন