সুখ একটি আপেক্ষিক ধারণা এবং ব্যক্তিভেদে এর সংজ্ঞা ভিন্ন হতে পারে। কেউ শারীরিক আরাম-আয়েশে সুখী হন, আবার কেউ সৃজনশীল কাজে আনন্দ পান। সামগ্রিকভাবে, সুখ হলো জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং সেই অনুযায়ী জীবনযাপন করা।
সুখ ও দুঃখ থেকে মানুষ চেনা সহজ হয়। সুখের মানুষগুলো আসে সুখের ভাগ নিতে। সুখ যখন শেষ হয়ে যাবে, তারাও তখন হাওয়ায় উবে যাবে। আর যারা কষ্টের দিনে পাশে এসে কষ্টকে ভাগ করে নেয়, তারা দুঃখের স্মৃতিচারণে আপনজন হয়ে অন্তরে দোলা দিয়ে যায়।
মানুষ কী চায়? কীসে সে সন্তুষ্ট? এই প্রশ্নগুলো খুব স্বাভাবিক। মানুষ চায় সুখ, মানুষ চায় স্বজন। সুখের দিন এবং স্বজন পেলেই মানুষ সন্তুষ্ট। এই সুখ লাভ করা কি সহজ? গোলাপের কাঁটার আঘাত না থাকলে গোলাপ অর্জন করা সম্ভব নয় যেমন, তেমনি কষ্ট না পেলে সুখ লাভ করা সম্ভব নয়। যারা কাঁটার আঘাত সইতে পারবে না, তাদের জন্য প্রকৃত সুখ নেই।
মানুষ মনে করে টাকা-পয়সা ধনদৌলত বুঝি সুখের আকর। মানুষ মনে করে, যখন তারা নিঃস্ব থাকে। কিন্তু যখন টাকার সাক্ষাত মেলে আর সেটা মনে করে না। কেউ কেউ মনে করে, ক্ষমতাও বুঝি সুখের আকর। কেউ মনে করে সুনাম সুখের আকর। এসব পাওয়ার পর মানুষ আর তেমন মনে করে না। তাহলে সুখ কোথায়?
সুখ কোথায়? নেই। কোথাও সুখ নেই। তবে একথা সত্যি দুঃখের কালো মেঘ কেটে গেলে যে রৌদ্রজ্জ্বল আলো এসে পড়ে, সেটাই সুখ। সেটাই স্বস্তি।
দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন আজ আগামীতে
মন্তব্যের ঘরে আপনার ভাবনা মন্তব্যে প্রকাশ করতে পারেন। আমিও উপকৃত হবো।


0 মন্তব্যসমূহ